বড় ছেলে জাফরের সঙ্গে প্রতিবেশি সেলিম মুশুল্লীর মেজো মেয়ে লামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক আছে। তবে সেলিম মিয়ার ছোট মেয়ে আছিয়াকে উত্যক্ত করা অভিযোগ মিথ্যা। আমি ও আমার পরিবারকে সমাজে ছোট করার জন্যই এঘটনা ঘটানো হয়েছে। সোমবার সকাল এগারটায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন জাফরের পিতা জাকির হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, আমি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে এসে আমার বড় পুত্র জাফরের সাথে লামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক জানতে পেরে ছেলেকে সাবধান করি। এছাড়া ইহা যেন সামনে না বাড়ে সেজন্য মেয়ের বাবাকে সজাগ থাকতে বলি। বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ করে শুনতে পাই “চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে ইভটিজিং এবং ঢাকায় গমন” শিরোনামে ফেইজবুক, অনলাইন এবং পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সেলিম মিয়ার ছোট মেয়ে আছিয়াকে উক্তত্য করা অভিযোগে আমার বড় ছেলেকে জড়ানো হয়েছে। আসলে উক্ত ইভটিজিংয়ের সাথে আমার পুত্র জড়িত নহে।
তিনি সাংবাদিকদের, উল্লেখিত ইভটিজিং স্পর্ট কলাপট্রি খেয়াঘাটসহ নদীর এপার ওপার সরেজমিনে তথ্য নিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের অনুরোধ জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কবির তালুকদার, সাধারন সম্পাদক মিলন সরকারসহ ইউনিটির সকল সদস্যবৃন্দ এবং নীলগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। আছিয়ার মা ঝর্না বেগম জানান, তার মোঝো মেয়ে লামিয়াকে প্রায়ই উত্যক্ত করত জাফর। বিষয়টি জাফরের বাবাকে কয়েকবার জানানো হয়েছে। এছাড়া লামিয়া জাফরের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় জাফরসহ তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ছোট মেয়ে আছিয়াকে অত্যক্ত করা শুরু করে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।