খুলে যাচ্ছে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত ক্লাবগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ২৭শে মার্চ ২০২৩ ১২:৩১ অপরাহ্ন
খুলে যাচ্ছে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত ক্লাবগুলো

চার বছরেরও বেশি সময় পর ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত ক্লাবগুলো খুলে দিতে যাচ্ছে সরকার। শিগগিরই এ সংক্রান্ত বিষয়ে ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। শুধু তা-ই নয়, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ও তার আশপাশের এলাকায় ক্রীড়াঙ্গনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ড না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখা হবে বলে সময় সংবাদে জানান পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।


১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ক্যাসিনো-কাণ্ডে কেঁপে ওঠে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। একে একে বন্ধ হতে থাকে মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা, আরামবাগের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলো।


ক্লাবে জুয়া ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড লোকচক্ষুর আড়াল থেকে সামনে চলে আসে। ক্রীড়াঙ্গনকে কলুষিত করায় গ্রেফতার হন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও সম্রাটরা। তারপর থেকে সেসব ক্লাব সিলগালা করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই তালা চার বছর পেরিয়ে গেলেও খোলেনি।


কতিপয় ব্যক্তির জন্য পাপ না করেও শাস্তি পেতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। ক্লাব ছেড়ে থাকতে হচ্ছে ভাড়া বাসায়। অনেক ক্লাবের কর্মকাণ্ড হয়ে গেছে সীমিত। চুরি হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর অনেক মূল্যবান ট্রফি। অবশেষে সেই কষ্ট লাঘব হচ্ছে। খুলছে ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িত ক্লাবগুলোর তালা।


এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘ক্লাবগুলো তো কোনো দোষ করেনি। দোষ করেছে ব্যক্তি। তাদের শাস্তি হচ্ছে বা হবে। তবে ক্লাবগুলো বন্ধ থাকার কারণে অনেক খেলার ক্ষতি হচ্ছে। আমি মনে করি, ক্লাবগুলোর বিষয়ে যদি পর্যায়ক্রমে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, তাহলে সেটা ভালো হয়। ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সময়ে আমরা বলতে পারব, কী হচ্ছে ভবিষ্যতে।’


শিগগিরই ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে খোলার উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে খোলার পর যেন আবারও কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য নজরদারিতেও রাখা হবে। শুধু তা-ই নয়, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে ঘিরে অবস্থিত দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বড় একটা অংশ। সেখানে সন্ত্রাসী কিংবা অবৈধ কোনো কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।


তিনি বলেন, ‘পুলিশ স্টেশনের একটা লম্বা প্রক্রিয়া আছে। যতটুকু সম্ভ হয়, আমরা এটা নজরদারিতে রাখব।’


ক্লাবগুলো খুলে দিলে আবারও খেলোয়াড়দের মুখে হাসি ফিরবে। তবে ক্লাবগুলোর নিজস্ব আয়ের পথ চালু করার স্থায়ী সমাধান না পেলে সেই হাসি থাকবে তো?