মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই ফুলে ফুলে ভরে উঠবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। স্মরণ করা হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ভাষা শহীদদের।
এদিকে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নতুন করে সেজেছে স্মৃতির মিনার। বদলে গেছে চিরচেনা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রস্তুত গোটা জাতি। প্রথমে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী।
এরপর সর্বস্তরের শ্রদ্ধার জন্য খুলে দেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। এরই মধ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। পাশের রাস্তায় রঙ ছড়াচ্ছে আলপনা।
একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে রং-তুলির শিল্পীদের ব্যস্ততা। পাকিস্তানী বর্বর শাসকদের অত্যাচার, নির্যাতন আর বঞ্চনার চিত্র ফুটে উঠছে তুলির আঁচড়ে। শহীদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকার দেওয়ালগুলোতে আঁকা হচ্ছে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা বর্ণমালাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার বর্ণমালা।
শহীদ মিনারের সার্বিক নিরাপত্তার খুঁটিনাটি দেখে যান র্যাবের মহাপরিচালক। জানান, ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঘিরে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।
এদিকে যারা শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসবেন তাদের পলাশী হয়ে আসতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়েল চত্বর দিয়ে বের হতে হবে।
এছাড়া, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি রুট-ম্যাপ। শহীদ মিনার এলাকায় কোনো মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না, কোনো ব্যানার, পোস্টার বা ছবি টাঙানো যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছেন, শহীদ মিনারের প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।