বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে আগারগাঁওস্থ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপিত হয়।
আজ সোমবার আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি।
পাশাপাশি উক্ত অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল(অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, মহাপরিচালক বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, এনবিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামরিক ও অসামরিক অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর নবনির্মিত স্টেশন লক্ষীপুর এর ২ টি ভবন (ভার্চুয়ালি) উদ্বোধন করেন পাশাপাশি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা, নাবিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক প্রদান করেন এবং মহাপরিচালক বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক প্রদান করা হয়।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর প্রসারী ভাবনার ফলেই আমাদের নিজস্ব সমুদ্র এলাকা দাবী সম্বলিত “The Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974' প্রণীত হয়। পরবর্তীতে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠার সোপান রচনা করেন। বিগত ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মহান জাতীয় সংসদে ‘‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল’’ উত্থাপন করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়।
শুরুতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে ২টি জাহাজ ও ২টি বোট এবং প্রেষণে আগত ২২০ জন নৌ সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তার পথ চলা শুরু করে। পরবর্তীতে কালের পরিক্রমায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় এ বাহিনীতে নতুন নতুন প্লাটফর্ম ও অবকাঠামো সংযোজিত হয়েছে। এর ফলে বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকান্ডে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে এবং অর্জিত হয়েছে নানা সাফল্য। কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে মুক্ত হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিনত হয়েছে।
আসন্ন দিনগুলোতে দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণে সততা, পেশাদারিত্ব এবং দেশপ্রেমের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে বদ্ধ পরিকর কোস্ট গার্ড। সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণে নিরলস কাজ করে যাবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।