বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রালয়ের কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের দেশে কোন ধরনের হাহাকারের মত খাদ্য সংকট নেই। দেশের মানুষ আমাদের সাথে ছিল থাকবে। আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। বিগত দিনে বিএনপি-জামাত জোটের দুঃশাসন, অপশাসন ও লুঠপাটের কারনে মানুষ অস্তির হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে সেরকম অবস্থার সৃষ্টি হয়নি।
বুধবার সকাল ১১টায় বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন সভা মঞ্চে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভূক্তি এবং অধিক ফলনশীল ধানের জাত সমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বরিশালের বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, বিএনপি চাচ্ছে আর্ন্তজাতিক বাজারের তেলের দাম নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য কোন কাজে লাগবে না। বিএনপি যদি মনে করে থাকেন দেশের মানুষ অশিক্ষিত তাহলে তারা বোকার সর্গে বাস করছেন। কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লোডশোডিং এখন শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না। লোডশেডিং বর্তমানে সারা বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে হচ্ছে। তিনি বলেন বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তারাতো সেসময় ১ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যায়নি। দেশে বিদ্যুতের যা উৎপাদন তা আমরাই করছি।
কৃষকদের সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপির সময় সারের দাম ছিল ৯০টাকা। আমরা ক্ষমতায় এসে সেই দাম কমিয়ে কৃষকদের কথা বিবেচনা করে ২৫ টাকা করেছি। বর্তমানে দেশে ১৬ টাকা দরে সার দেওয়া হচ্ছে। এসময় তেলের দামের বিষয় বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে তেলের দাম কমে আসলে আমরাও কমিয়ে নিয়ে আসব। এছাড়া তিনি আরো বলেন দেশের ভোজ্যতেলের সংকট দূর করার জন্য আগামী ৩ বছরের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোজ্যতেল উৎপাদন করে দেশের ঘাটতি পূরন করা হবে।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগীতায় কৃষি মন্ত্রালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন-উল-আহসান, কৃষি মন্ত্রালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিড়ি) মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ডিজি মোঃ বেনজির আলম, কৃষি সম্প্রসারনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার, বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন প্রমুখ। কর্মশালায় বরিশাল, ফরিদপুর, খুলনা ও যশোর অঞ্চল ৪ জেলার ৩ শতাধিক কৃষি কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্তরা অংশ গ্রহন করে। কর্মশালায় কৃষি বিষয়ের উপর উপস্থপনা করেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর (বিড়ি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলমগীর হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।