প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (সোমবার) দেশের বৃহত্তর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। সোমবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক ছোঁবে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার ঘোষণায় পৌঁছাবে সরকার। দীর্ঘ দুই বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি কোনো উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুৎ সুবিধা পেত ৪৭ শতাংশ মানুষ। ২০২২ সালে এসে এটি শতভাগে উন্নীত হয়েছে। গত ১৩ বছরে ৫৩ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দিয়েছে বর্তমান সরকার।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে ‘পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র’ নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)। প্রকল্পের প্রথম অংশে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান। এটি ২০২৪ সালের মাঝামাঝি শেষ হবে।
বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদুল আলম বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির। এখানে আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যেন পরিবেশকে সুরক্ষা করা যায়। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সালফার, নাইট্রোজেন ও বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালস দ্বারা। এই তিনটিই এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি।
এম খোরশেদুল আলম আরও বলেন, আমরা পরিবেশকে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছি যে, কেউ যদি না বলে এটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আপনি বুঝতেও পারবেন না। কয়লার কোন ডাস্টও পাওয়া যাবে না বলে নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন তিনি।
বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা হলো- বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে। তিনি জানান, দুটো লাইনে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন হবে। একটি পায়রা থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকার আমিনবাজার পর্যন্ত। আরেকটি খুলনা হয়ে যশোর পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।