
ডুবে যাওয়া মাইক্রো চালকের লাশ মিলেছে

জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২১, ১০:২৭
শেয়ার করুনঃ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় পদ্মায় নিখোঁজ মাইক্রোবাস চালক মারুফ হোসেনের মৃতদেহ (৪৫) উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে দৌলতদিয়ার ৫নং ফেরিঘাট থেকে প্রায় দেড় কিঃমিঃ দূরে ১নং ছাত্তার মেম্বার পাড়া আদর্শ গ্রাম এলাকায় তার লাশ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন।লাশটি নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে স্বজনদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুন্নাফ আলী শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন,গত ১১ মে মঙ্গলবার বেলা সারে ১১ টায় হঠাৎ ঝড়ে পন্টুনের তার ছিড়ে দৌলতদিয়ার ৫ নং পন্টুনের উপর থেকে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। বেলা দেড়টার দিকে উদ্ধারকর্মীরা মাইক্রোবাসটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।কিন্তু ভেতরে থাকা চালক মারুফের খোঁজ পাওয়া যায় নি।
এদিকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা হতে দৌলতদিয়া ঘাটে ছুটে আসেন নিখোঁজ চালকের বড় ভাই ফারুক চৌধুরী, সেজ ভাই শাহিন চৌধুরী, ভাতিজা রিপন চৌধুরী, শ্যালক হুমায়ুন কবির, ইকবাল হোসেন খোকন,ভাস্তি জামাই নিজাম হোসেন ও বেয়াই শেখ বাচ্চু।তাদের সকলের উপস্থিতিতে নিহতের বড় ভাই মোঃ ফারুক হোসেন পরিবারের পক্ষে লাশ বুঝে নেন।
এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আজিজুল হক খান মামুন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর, রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আলাপকালে মারুফের শ্যালক হুমায়ুন কবির বলেন,নিহত মারুফের পিতার নাম মরহুম মানিক মিয়া।বাড়ি সিলেটের জাকিগঞ্জ উপজেলার সন্দুরার চক গ্রামে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে ঢাকায় থেকে ড্রাইভিংয়ের কাজ করতেন।
পরিবারে তার ৩ টি কন্যা সন্তান, স্ত্রী ও অন্যান্যরা রয়েছেন। তারা তার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিল।মেয়ে ৩ টি স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটিতে লেখাপড়া করে। তার এ অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।
#ইনিউজ৭১/এনএইচএস/২০২১

