প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৩০
করোনার কারণে পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য যারা টাকা জমা দিয়েছিলেন পরীক্ষা না হওয়ায় তারা কিছু টাকা ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শনিবার এইচএসসি ও সমমানে ফল ঘোষণা শেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফরমপূরণ বাবদ আদায়কৃত অর্থের অব্যয়িত অংশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাধারণ নয়টিসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া আর সম্ভব হয়নি।
সে কারণে জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়। পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের জন্য আইনও সংশোধন করতে হয়েছে।পরীক্ষা না নিয়ে ফল প্রকাশে আইন সংশোধনের পর আজ শনিবার একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যুক্ত হয়ে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসির ফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ সময় কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গত বছর যে সুযোগ ছিল, এবারও ততটুকুই থাকছে। তাতে যারা জিপিএ-৫ পেয়েছে তারাসহ সবাইকেই এই পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। মেধার পরিচয় দিয়েই তারা ভর্তির সুযোগ পাবে।
ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।