বর্তমান সময়ের কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে যারা সুস্থ ধারার সাহিত্য চর্চ্চার মাধ্যমে পাঠক সমাজে সমাদৃত, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ডঃ মৌলী আখন্দ। পেশায় একজন শিশু চিকিৎসক হয়েও, চরম ব্যস্ততার মাঝে সাহিত্য চর্চ্চায় নিজের মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে আসছেন অনেক বছর ধরে। লেখক-পাঠকদের অন্যতম জনপ্রিয় ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম “পেন্সিলে”ও তিনি সমান মাত্রায় জনপ্রিয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর (২০২০ সাল) আয়োজিত একুশে বইমেলায় এই জনপ্রিয় ঔপন্যাসিকের "একা" ও “ইট রঙের বাড়ি” শিরোনামে ২ টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে "একা"র মোড়ক উম্মোচিত হল।মোড়ক উম্মোচন করলেন তার গর্ভধারিণী জাহানারা কুমকুম।যিনি পেশায় একজন শিক্ষিকা। মা'কে তার লেখালেখি জীবনের সফলতার পেছনের কারিগর আক্ষায়িত করেন লেখক।তাই মোড়ক উম্মোচনের জন্য মা'কেই মনোনয়ন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখকের পরিবারে সদস্যবৃন্দ, বন্ধু-বান্ধব,ভক্ত-পাঠক এবং বিভিন্ন চ্যানেলের সংবাদকর্মী। বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, এর কাহিনী ২টি সমান্তরাল ধারায় এগিয়ে গেছে।
বইটির অনেকগুলো পর্ব রয়েছে। বিজোড় সংখ্যার পর্বগুলোতে ১৯৭১ সাল এবং জোড় সংখ্যার পর্বগুলোতে ২০১২ সাল থেকে ঘটনার শুরু হয়েছে। ১৯৭১ সালে পুতুল খেলার বয়সে বিয়ে হয় রওশনের। বিয়ে কী, স্বামী কী, সংসার কী এসবের সংজ্ঞা জানার আগেই একে একে ছয় সন্তানের জননী হয় সে। স্বামী মারা যায় তাকে তরুণী অবস্থায় রেখে। একা হাতে সংসার সামলানো, সন্তান লালন-পালন করেছে রওশন। তার পাঁচটি মেয়ে প্রত্যেকেই জীবন পথে ঝড়-ঝঞ্জার শিকার হয়েছে।
কিন্তু থেমে ছিল না কেউই। জীবনের সব প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ করে এগিয়ে গেছে তারা সবাই। গল্পগুলো রওশনের, মুক্তির, তৃপ্তির, জরীর, রূপকথার, অর্পিতার… গল্পগুলো আমাদের সমাজের প্রত্যেকটা মেয়ের। গল্পগুলো সব একটার সাথে একটা সুতোয় বেঁধে সৃষ্টি হয়েছে 'একা' উপন্যাসের। পাঠক কখনও শিউরে উঠবেন, কখনও নিজের অজান্তে চোখ ভেজাবেন অশ্রুজলে, কখনও দৃঢ় প্রত্যয়ী হবেন জীবনপথে না থেমে এগিয়ে যাওয়ার। বাস্তবভিত্তিক এই উপন্যাসটি সর্বস্তরের পাঠককে উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে, এই সমাজের মেয়েরা কতো 'একা'। “ভূমি প্রকাশ” থেকে প্রকাশিত হয়েছে বইটি।স্টল নং ৭২২ এ পাওয়া যাচ্ছে "একা"। এরই মধ্যে ব্যপক সাড়া ফেলেছে উপন্যাসটি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।