ইসকনের ২০২ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি টাকার লেনদেন, তদন্ত শুরু !

নিজস্ব প্রতিবেদক
সামির আসাফ, প্রতিনিধি ( ঢাকা )
প্রকাশিত: বুধবার ১লা জানুয়ারী ২০২৫ ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
ইসকনের ২০২ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি টাকার লেনদেন, তদন্ত শুরু !

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর ২০২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে মোট ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা হয়েছে, যার মধ্যে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে এসব অ্যাকাউন্টে ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে।  


বিএফআইইউয়ের তথ্যমতে, ইসকনের বিতর্কিত নেতা চন্দন কুমার ধর বা চিন্ময় কুমার দাসের নামে তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা ছিল। এই অর্থের প্রায় পুরোটা উত্তোলন করা হয়েছে। এখন তদন্তকারীরা যাচাই করছে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে এসেছে এবং এটি কোথায় ব্যয় করা হয়েছে।  


৩০ নভেম্বর, বিএফআইইউ ইসকনের ১৭ জন সদস্যের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। এই ১৭ জনের মধ্যে চন্দন কুমার ধর বা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী এবং সজল দাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।  


এই পদক্ষেপের পর, ২৮ নভেম্বর, বিএফআইইউ ইসকন বাংলাদেশ শাখার ১৭ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশনা দিয়েছিল। এর ফলে ব্যাংকগুলোতে এসব সদস্যদের লেনদেন স্থগিত রাখা হয় এবং তাদের আর্থিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে গভীর তদন্ত শুরু হয়।  


বিএফআইইউ এখন এই অর্থের উৎস ও লেনদেনের বৈধতা পরীক্ষা করতে কাজ করছে। যারা এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা দিয়েছে এবং উত্তোলন করেছে, তাদের পরিচয় ও উদ্দেশ্য জানার জন্য তদন্ত চলছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানিয়েছে, অর্থের উৎস খুঁজে বের করা এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।  


বিএফআইইউ-এর এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ইসকনের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের এ ধরনের কর্মকাণ্ড তদন্তের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।