থার্টি-ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে সামনে রেখে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জনগণকে আতশবাজি বা পটকা না ফোটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আজকের দিনে আতশবাজি বা পটকা ফোটানোর ফলে যে শব্দদূষণ এবং বায়ুদূষণ তৈরি হয়, তা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশেষ করে শব্দদূষণ মানুষের হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং মানসিক চাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই আমি গণমাধ্যমকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, যেন আজকে কোনো আতশবাজি বা পটকা না ফোটানো হয়।’
এছাড়া, তিনি জানান, সন্ধ্যার পর থেকে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে এবং যেসব ব্যক্তি এ আইনের লঙ্ঘন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছিল, থার্টি-ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানোর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এসব কার্যক্রম শব্দদূষণ এবং বায়ুদূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলে। এছাড়া, ফানুস উড়ানোর কারণে অগ্নিকাণ্ড এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। প্রথমবার অপরাধ করলে ১ মাসের জেল, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। আর পুনরায় অপরাধ করলে ৬ মাসের জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
এছাড়া, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ সুরক্ষায় একটি নতুন আইন প্রণয়নের কথা জানান, যার মাধ্যমে গাছের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। এই আইনের আওতায় পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন বন্ধ করার বিষয়ে একটি বিধি সংযুক্ত করা হবে।
এদিকে, পরিবেশ অধিদফতর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং থার্টি-ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় পরিবেশের ওপর চাপ কমানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।