পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকা বাঁচা-মরার বিক্ষোভ আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সরকার ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সমর্থকদের বিশাল জমায়েতের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেয়। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ ঠেকাতে ইসলামাবাদ পুলিশ বিভিন্ন গেস্ট হাউস ও হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে পিটিআই দলের অন্তত ২০৫ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে করাচি, কোশার, বারাকাহু এবং রমনা এলাকায় পুলিশের সীমানা থেকে পিটিআই কর্মীরা আটক হয়েছেন।
বিক্ষোভ দমাতে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যা অনুযায়ী জমায়েত বা বিক্ষোভ করা আইনত নিষিদ্ধ। ইসলামাবাদ পুলিশ, রেঞ্জার্স এবং ফ্রন্টিয়ার কন্সটাবুলারি সারা শহরে মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রধান সড়কগুলো ঘিরে কনটেইনার রাখা হয়েছে। শহরের প্রবেশমুখগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রেড জোন এলাকাগুলোতে পুলিশি তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন অংশে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যাতে বিক্ষোভের বিষয়ে কোনো ধরনের তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে।
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করাচির মতো বড় শহরগুলোতে পুলিশ তার কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে এবং আরও কয়েকটি শহরে গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে, পিটিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা যেকোনো পরিস্থিতিতেই বিক্ষোভ করবেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বিক্ষোভটি সরকারের বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার মাধ্যমে পিটিআই তাদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।