ঈদের ছুটি শেষ। তবে এখনও যানজটের শহর ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা। এদিকে টানা নয় দিনের ছুটি শেষে। আজ রোববার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। ছুটির আগে শেয়ারদর ও সূচকে যে ঊর্ধ্বমুখী ধারা ছিল, তা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশা করছেন শেয়ারবাজার সংশ্নিষ্টরা। এমন আশাবাদের নেপথ্যে আসন্ন জাতীয় বাজেটই মূল অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঈদের ছুটির আগের শেষ সপ্তাহে শেয়ারবাজারে বেশ ঊর্ধ্বগতি ছিল। সতের সপ্তাহ বা চার মাস পর শেয়ারবাজার সূচকে বড় উত্থান হয়েছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৭ পয়েন্ট বা প্রায় আড়াই শতাংশ বেড়ে ৫৩৭৭ পয়েন্ট ছাড়িয়ে ছিল।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং বিবিধ খাত ছাড়া অন্য প্রায় সব খাতের অধিকাংশ শেয়ারের বাজারদর বেড়ে ছিল। বড় খাতগুলোর মধ্যে মিশ্রাবস্থা ছিল ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাত। বীমা খাতের শেয়ারগুলোর দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। খাতওয়ারী লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এপ্রিলের শেষের তুলনায় মে মাসের শেষে এসে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের প্রায় সব শেয়ারের দর বেড়েছে। এ দুই খাতের তালিকাভুক্ত ৭০ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির। একই সময়ে ব্যাংক খাতের ৩০ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ১৯ কোম্পানির মধ্যে ১৩টির, প্রকৌশল খাতের ৩৮টির মধ্যে ২৫টির, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টির মধ্যে ১৭টির, বস্ত্র খাতের ৫৫টির মধ্যে ৩৬টির, সিরামিক খাতের পাঁচটির মধ্যে চারটির, বিবিধ খাতের ১৩ কোম্পানির ১০টিরই বাজারদর বেড়েছে।
সাম্প্রতিক দরপতনের প্রেক্ষাপটে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে তাদের ‘প্রত্যাশার চেয়েও বেশি’ কিছু প্রণোদনা থাকবে বাজেটে- খোদ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার এ ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের নতুন করে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্নেষকরাও।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।