মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে, বিশেষ করে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার প্রেক্ষাপটে। ২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে ইরানকে সতর্ক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি কড়া বার্তা দিয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে স্পষ্ট করে বলেছে যে, তারা যদি এই অঞ্চলে ইসরায়েল বা মার্কিন কর্মীদের বিরুদ্ধে আরো কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে এর ফল ভয়াবহ হবে। থমাস-গ্রিনফিল্ডের বক্তব্য, “আমরা আত্মরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না; এতে কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।”
তিনি উল্লেখ করেন যে, বর্তমানে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি গুলি বিনিময়ের অবসান হওয়া প্রয়োজন। এই সময়ে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর বিরুদ্ধে একটি শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, গত শুক্রবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানে ব্যাপক হামলা চালায়, যেখানে চারজন ইরানি সেনা নিহত হয়। ইসরায়েল দাবি করেছে যে, তারা এই হামলায় সফল হয়েছে এবং তাদের যুদ্ধবিমানগুলো নিরাপদে ফিরেছে। হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছে যেন তারা আবারো কোনো হামলা না চালায়। এই পদক্ষেপগুলো মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং ভবিষ্যতে উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কিভাবে এই সংকট সমাধান হবে এবং ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে সংঘাত এড়ানো সম্ভব হবে, তা দেখার বিষয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।