মাঠের পুলিশ ও পুলিশ, তিনি ও পুলিশ !!!

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ শওকত হায়দার (জিকো) সম্পাদক , ইনিউজ৭১
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২০শে এপ্রিল ২০২১ ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন
মাঠের পুলিশ ও পুলিশ, তিনি ও পুলিশ !!!

অনেক দিন ধরে তাকে ফলো করি ,তার লেখা ,ভাল কাজ গুলো অনুপ্রাণিত করে সবসময় । ভেবেছিলাম যাবো একদিন চায়ের দাওয়াতে তার কাছে তবে এর মধ্যে হুট করে চলে গেলেন জাতিসংঘ শান্তি মিশনে। এর পর ফিরলেন আবার দেশে , দেশে ফিরে পোস্টিং নিলেন বরিশাল সদরে বিএমপি ট্রাফিক এর এডিসি হয়ে। তবে এবার তার ফেসবুক পেজে

নক দিলাম - পরিচয় দিলাম সাদরে গ্রহণ করলেন , নিজের বেক্তিগত মোবাইল নাম্বার দিলেন , দাওয়াত দিলেন চা খাবার । আমিও কথা দিলাম ভাইয়্যা বরিশাল গেলে অবশ্যই আপনার সাথে দেখা করবো । ২০১৯ এ বরিশাল গিয়ে কল দিলাম , তিনি বল্লেন জিকো আমি একটু কুয়াকাটা আসছি ভাই । তুমি পরশু থাকবা কি ? সেদিন দেখা হবে ! আমিও তাই বলেছিলাম দেখা হবে। এবার সেই মাহিন্দ্রখন সময় , আমি আমার শ্বশুরের মটর সাইকেলটি নিয়ে আমি আর বাবা আজরাফকে নিয়ে গেলাম তার অফিসের দিকে ।
মুল গেঁটে কোন বাধা ছাড়াই ভিতরে প্রবেশ করলাম।বাইক রাখা মাত্র একজন কনস্টেবল পর্যায়ের পুলিশ এসে আমাকে 'করা রাগ '! আপনার এত সাহস ভিতরে নিয়ে আসছেন , যান বাহিরে গিয়ে রাখেন , ঐ রাস্তার ওপারে রাখেন । রীতিমত লজ্জিত ফিল করছিলাম যে, কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলে কি এভাবে শুরুতেই অপমান করে নাকি ! মুখ লাল করে বল্লাম আমি জাকারিয়া জিকু ভাই এর সাথে দেখা করতে এসেছি । এবার তিনি আমাকে পথ দেখিয়ে দিলেন আমি ও

তাকে কল করা মাত্র , নিজে এগিয়ে আগিয়ে নিতে আসলেন । এটা দেখে মুখ লাল টা এবার ঠিক হয়ে গেল । এর পর তার রুমে গেলাম , নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম , তবে কিছু খন পর পর কেউ না কেউ আসছে তার উদার ব্যবহার নিতে তা দেখছিলাম । এর মধ্যে তিনি নাস্তা আনতে দিলেন আমি বার বার না করলাম তারপর ও আরে কি বল তোমরা ছোট ভাই তারপর ভাতিজাকে নিয়ে এসেছ ।

বসে আছি হঠাৎ করে এক ছেলে এসে তো কান্না স্যার আপনি আমাকে বাঁচান । তিনি বল্লেন কি হয়েছে ? ছেলে বলে স্যার শখ করে বাবার বাইক একটু টান দিয়েছিলাম - হেলমেট ছিল না এখন ১০০০০ টাকার মামলা দিয়েছে ! আমার আব্বা আমাকে মেরে ফেলবে জানলে । সার্জেন্ট স্যারকে অনেক বলেছি মাফ করে নি । তিনি বলেছেন কিছু করলে আপনি করতে পারবেন , তাই আপনার কাছে আসা । এই বলে কাঁদছিল । ছেলেটি মাত্র কলেজে উঠেছে। জিকু ভাইয়া চেয়ে আছে কিকরবে ভেবে হয়ত! তাকে জিজ্ঞেস করল তুমি কয় টাকা দিয়ে পারবে ?

ও বলল স্যার ১০০০-১৫০০ কোন ভাবে দিতে পারব জরিমানা । এই কান ধরে শপথ করছি যে কোন দিন এই কাজ করবো না । ভাইয়া হাসছিল ,আমি চেয়ে আছি , এর পর ভাইয়া বল্লেন ঠিক আর করবা না তো ? সে উত্তর দিল না স্যার । আচ্ছা তাইলে আমি ৭৫ ভাগ মাফ করতে পারি এইটুক সরকার আমাকে সুপারিস করার সুযোগ দিয়েছে বিশেষ ক্ষেত্রে । এখন কি করবো বল, এই বলে নেও এই ১০০০ টাকা

আমার বেতনের থেকে দিলাম এটা মিলিয়ায়ে ২৫০০ টাকা দিয়ে মামাল তুলে নেও আর ভুল কর না !!! আমি চুপ হয়ে দেখলাম সব । ছেলেটি হেসে দিল এবং আমি নিশ্চিত ও জীবনে ভাইয়ার দেখান কাজটি হাজার বার করবেন , ছেলেটি তার কর্মক্ষেত্রে । কোন দিন মানুষকে উপকার ছাড়া অপকার করবে না । আসলে আমরা জনগণ মাঠের পুলিশের থেকে এমন আসা করি যা পাই না বলে

অধিকাংশ মানুষ পুলিশ বিদ্বেষী । হয়ত আগামী ২০ বছর পর সকল মাঠের পুলিশ থেকে আমরা এমন উত্তম ব্যবহার পাব !!! আর ভাল কথা আজ সেই প্রিয় ভাইয়ের জন্মদিন কিন্তু !!! শুভ জন্মদিন ভাই , দোয়া আর শুভকামনা দিহানের বাবার জন্য !!!