'মিন্নির বাবা অভিযোগ করলে আইনজীবীদের সনদ বাতিল হতে পারে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ২০শে জুলাই ২০১৯ ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
'মিন্নির বাবা অভিযোগ করলে আইনজীবীদের সনদ বাতিল হতে পারে'

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়শা আক্তার মিন্নি এখন কারাগারে আছেন। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার আদালতে তোলার পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। এর আগে ১২ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার আদালতের তোলার পর পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। এ কারণে সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলেন বিচারক। এ বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, দু-একজন আইনজীবী ব্যক্তিগত কারণে বা বিভিন্ন বিবেচনায় মামলা নাও নিতে পারেন। কিন্তু সবাই মিলে যদি সিদ্ধান্ত নেন যে, মিন্নির পক্ষে দাঁড়াবেন না, তাহলে এটা আইনজীবীদের পেশাগত আচরণ বিরোধী।

তিনি বলেন, কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তের সাথে পরামর্শ এবং আইনি সহায়তা লাভ-এটা প্রত্যেক ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার। এটা সংবিধানে ৩৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে। অতএব মিন্নি যদি আইনজীবীর কাছে আইনি সহায়তা না পায়, তাহলে তার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে। ‘এ ধরনের যদি কোনো দলগত সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, তাহলে মিন্নির বাবা বা মিন্নি বার কাউন্সিলে অভিযোগ করলে আইজীবীদের সনদ বাতিল হতে পারে।’ এদিকে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেনও বলছেন, আমি তিনজন আইনজীবী (অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন, অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার নাসির ও অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের) সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তাদের দাঁড়ানোর কথা ছিলো, আমার মনে হয় প্রতিপক্ষদের ভয়ে তারা আমার মেয়ের পক্ষে দাঁড়াননি।

শাহদীন মালিক বলেন, কারও চাপে ভয় পেয়ে যদি আইনজীবীরা না দাঁড়ান, এটা তো বিরাট অপরাধ। এরকম যদি কোনো অভিযোগ আসে, তবে পুলিশের উচিত হবে এটা খতিয়ে দেখা, তদন্ত করা। যে কারও চাপে বা বাধার কারণে যে আইনজীবীরা বিরত থাকছেন, এটাতো ফৌজদারি অপরাধ। তখন মিন্নির বাবা গিয়ে পুলিশের কাছে এফআইআর করতে পারে যে, অমুকের চাপের কারণে আমি কোনো আইনজীবী পাচ্ছি না। তখন এমপি হোক, মিনিস্টার হোক পুলিশের দায়িত্ব হবে তদন্ত করা। আমাদের সময়।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব