রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে নিজের ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে শাহ মো. কুদ্দুস (৩১) নামে এক পুলিশ সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রামের বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ লাইনের মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের রসলুপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আ. ওয়াহাবের ছেলে পুলিশের নায়েক শাহ মো. আ. কুদ্দুস।
বহরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন জানান, কুদ্দুসের বাবা এক বছর পূর্বে মারা যায়। তার মা হেলেনা বেগম এই খবর পেয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। তার আর্তনাদে সেখানে সৃষ্টি হয় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। তিনি আরো জানান, কুদ্দুছের স্ত্রীর সাথে বিয়ের পর থেকেই মনোমালিন্য ছিল। স্ত্রীর যন্ত্রনায় কোনো সময় শান্তিতে ছিল না কুদ্দুছ। মনে হয় এ কারণেই কুদ্দুছ আত্মহত্যা করেছে।
কুদ্দুসের ভাই সিলেট রেঞ্জ কর্মরত এএসআই শাহ মো. তুহিন জানান, তার ভাই এক বছর আগে মাধবপুর উপজেলার মৌজপুর গ্রামের সৈয়দ মো. কাউছারের মেয়ে হাবিবুন্নাহারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রী ও শাশুড়ির সঙ্গে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। কলহের জের ধরে তার স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতে ৬ মাস ছিল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ২ মাস আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে হাবিবুন্নাহারকে তার শ্বশুরালয়ে পাঠানো হয়। এরপরও হাবিবুন্নাহার ও শাশুড়ির সাথে কুদ্দুছের সঙ্গে কলহ লেগেই ছিল। যার কারণে কুদ্দুছের জীবন বিষিয়ে ওঠে। পারিবারিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে কুদ্দুছ আত্মহুতি দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা লাশ গ্রহণ করেছেন। এখনও জানাযা এবং দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয়নি। মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, আমরা শুনেছি কুদ্দুছ নিজ অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এর কারণও তিনি চিরকুটে লিখে গেছেন। আর কোনো কারণ আমরা জানতে পারিনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।