দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের আলোচিত ও বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা ডিআইজি মিজানকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শাহবাগ থানা থেকে তাকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশ। গতকাল দুদকের মামলায় ডিআইজি মিজান হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে ডিআইজি মিজানকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে ডিআইজি মিজানের ভাগনেকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত বলেন, ‘তিনি (ডিআইজি মিজান) পুলিশের ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমরা তাকে পুলিশের হাতে দিচ্ছি।’ আদালতের আদেশের পর গতকাল মিজানকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৫ জুন রাতে ডিআইজি মিজানকে বরখাস্ত করে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়। বহু ঘটনার পর গত ২৪ জুন ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর তিন আসামি হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে করা হয়। দুদক পরিচালক মনজুর মোরশেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।