রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটে বোমা থাকার আশঙ্কায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। বুধবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ফ্লাইটে ২৫০ জন যাত্রী ও ১৩ জন ক্রু ছিলেন, যাদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিমান থেকে জানানো হয় যে, এক যাত্রী বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছেন। এই তথ্য পাওয়ার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিমানটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে রাখে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কামরুল ইসলাম বলেন, যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদে রয়েছেন। তবে বিমানে বোমা আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।
বিমানটি রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় যাত্রা শুরু করে। পথে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি পাওয়ার কারণে বিমানটি অবতরণের পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। যাত্রীদের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে বিমানটি ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বোমা থাকার সম্ভাবনা নিয়ে বিমানবন্দরে তৈরি হয় উৎকণ্ঠা। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতায় যাত্রীদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ধরনের পরিস্থিতিতে সবসময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও সংশ্লিষ্ট বাহিনী বিমানের ভেতরে ও বাইরে তল্লাশি চালিয়ে নিশ্চিত করবে, কোনো বিস্ফোরক আছে কি না।
এ ধরনের ঘটনা নিত্যদিনের উড়োজাহাজ নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। তবে বাংলাদেশ বিমানের এই দ্রুত পদক্ষেপের জন্য বড় ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঘটেনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট নিরাপত্তা আরও জোরদার করা জরুরি। বিশেষ করে যাত্রী এবং কার্গো চেকিংয়ের প্রক্রিয়ায় আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের জন্য যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।