লালমনিরহাটে আজহারীর মাহফিলে চুরির হিড়িক, আটক ২১ নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মাসুদ বাবু,নিজস্ব প্রতিনিধি হাতিবান্ধা (লালমনিরহাট)
প্রকাশিত: রবিবার ১৯শে জানুয়ারী ২০২৫ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
লালমনিরহাটে আজহারীর মাহফিলে চুরির হিড়িক, আটক ২১ নারী

লালমনিরহাটে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির মাহফিলে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। শনিবার লালমনিরহাটের সোহরাওয়ার্দী মাঠে শুরু হওয়া মাহফিলে লাখো মানুষের ভিড় জমে। অতিরিক্ত ভিড়ের সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধ চোর চক্র মোবাইল ফোন, টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে বলে অভিযোগ ওঠে। এখন পর্যন্ত আট থেকে দশটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের হয়েছে।  


মাহফিল চলাকালে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয়তার কারণে ২১ নারীসহ ২২ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটক নারীদের বেশিরভাগ সিলেট, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের বলে জানা গেছে। পুলিশ তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।  


ভুক্তভোগীরা জানান, অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে চোর চক্র খুবই দক্ষতার সঙ্গে তাদের মোবাইল ফোন, টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। অনেকেই তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগীরা লালমনিরহাট সদর থানায় জিডি করতে ভিড় করছেন।  


মাহফিল আয়োজন কমিটির কো-অর্ডিনেটর রায়হান রাজ জানান, তারা মাহফিল সফল করার জন্য সবধরনের আয়োজন করেছিলেন। তবে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, এত বড় জনসমাগমে চুরি ঠেকানো খুবই চ্যালেঞ্জিং।  


লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর-নবী জানান, এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্তে নেমেছে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং চুরি হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।  


স্থানীয়রা বলছেন, মাহফিলের মতো একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এমন ধরনের অপরাধ অত্যন্ত নিন্দনীয়। তারা আয়োজকদের আরও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।  


মাহফিলের ভিড়ে নিরাপত্তার অভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তারা মনে করেন, নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যেত।  


এ ঘটনার মাধ্যমে মাহফিলে সংঘবদ্ধ অপরাধীদের উপস্থিতি এবং এদের প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার সামনে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলে জানা গেছে।