আশাশুনিতে নদী ভাঙ্গনে বিপর্যস্তদের দাবি শুনলেন ইউএনও কৃষ্ণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৯ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
আশাশুনিতে নদী ভাঙ্গনে বিপর্যস্তদের দাবি শুনলেন ইউএনও কৃষ্ণা

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মধ্যম চাপড়া গ্রামে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত নারী-পুরুষ-বৃদ্ধরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কৃষ্ণা রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।


নদী ভাঙ্গনের শিকাররা জানান, গত ৪০ বছরে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও সহায়-সম্পদ। গ্রামের একটি হাই স্কুল তিনবার স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। অনেকেই ভিটেমাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত বছর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খনন ও বাঁধ নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে নদীর মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলে যায়। এর ফলে তীরবর্তী জনপদ এবং ওয়াপদা সংলগ্ন এলাকা হুমকির মুখে পড়ে।


ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন, একটি হাই স্কুল, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা এবং তিনটি মসজিদসহ আশপাশের জনবসতি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদীর প্রকৃত প্রবাহ রক্ষায় আরএস ম্যাপ অনুযায়ী খননকাজ পরিচালনার দাবি জানান তারা।


সম্প্রতি পাউবোর সার্ভেয়ার স্থানীয়দের সহায়তায় নদীর উপর লাল পতাকা স্থাপন করে ড্রয়িং অনুযায়ী খনন পরিকল্পনা তৈরি করেন। কিন্তু মঙ্গলবার ঠিকাদার পতাকা স্থাপনকৃত স্থানে খনন না করে ভরাট হওয়া স্থানে খনন শুরু করেন, যা এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে। তারা ইউএনওর কাছে সরেজমিন গিয়ে প্রকৃত অবস্থা পর্যবেক্ষণের দাবি জানান।


এ বিষয়ে ইউএনও কৃষ্ণা রায় বলেন, তিনি পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি পাউবোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন এবং খননকাজ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।


ভুক্তভোগী খায়রুল ইসলাম বাপ্পী, আঃ খালেক, মইনুর ইসলাম, ইমাদুল, আল মামুন, জয়নাল আবেদীন, শফিকুল, ডালিম, খাদিজা, রোমেনা, শিরিনা, এছমা, মাজিদা, মর্জিনাসহ অনেকে ইউএনওর প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।