সিলেট বিভাগে টানা কয়েক দিনের তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের লোডশেডিং প্রকটভাবে বেড়ে গেছে। গত তিন দিন ধরে সিলেটের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামছে না। সোমবার সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ছিল ৩৭ ডিগ্রি এবং শুক্রবার ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং জনগণের দৈনন্দিন জীবনে আরও অসুবিধা সৃষ্টি করেছে।
সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহে একটি বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। পিডিবি সূত্রে জানা যায়, রোববার সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২০৭ দশমিক ৮০ মেগাওয়াট, কিন্তু সরবরাহ হয়েছে মাত্র ১৪০ দশমিক ৪৪ মেগাওয়াট। এর ফলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ছিল ৬৭ দশমিক ৩৫ মেগাওয়াট বা ৩২ দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে, সিলেট জেলায় ১৫৩ দশমিক ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ৯৮ দশমিক ১২ মেগাওয়াট, যার ফলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ছিল ৫৫ দশমিক ২ মেগাওয়াট বা ৩৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
নগরবাসী জানান, তীব্র গরমের কারণে ঘরে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের অভাবে অনেকের ঘরে থাকাও দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। দিনের বেলায় ঘরের ভেতরেও অতিরিক্ত গরম বিরাজ করছে এবং রাতে গুমট পরিবেশ হয়ে উঠেছে। এমনকি নামাজের সময়েও মসজিদে বিদ্যুতের অভাবে মুসল্লীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় এই গরম বেড়েছে। আগামী দুই দিন আরও একই ধরনের পরিস্থিতি থাকতে পারে। গরম কমার একমাত্র উপায় হচ্ছে বৃষ্টি, কিন্তু বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলে গরমের তীব্রতা কমার কোনো আশা নেই।
সিলেটের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সূর্যের তীব্র উত্তাপ শুরু হয়ে যায় এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গরমের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময়ে হাওয়া-বাতাসের অভাব এবং রাতেও ভ্যাপসা গরম পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ঘরেও শান্তি নেই, ফলে মানুষ হাঁসফাঁস অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।