বাইডেনের জয়ে আশার আলো দেখছেন মাদুরো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ৯ই নভেম্বর ২০২০ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
বাইডেনের জয়ে আশার আলো দেখছেন মাদুরো

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা তৎপরতায় তটস্থ ছিলেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল গদি হারানোর ভয়।এজন্য তিনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের ‘শত্রু’ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়িয়েছেন। শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্পের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয় তাকে আশাবাদী করে তুলেছে। দুই দেশের মধ্যে আবার আলোচনা হবে, এমন স্বপ্নই দেখছেন তিনি।জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন এমন নিশ্চিত খবর যখন ছড়িয়ে গেছে সর্বত্র, এসময় মুখ খুললেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। খবর আল জাজিরার।

মাদুরো জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সম্মানজনক, আন্তরিক’ রাজনৈতিক সংলাপ শুরুর বিষয়ে কাজ করবেন।যদিও এখনো যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যে ‘সাপে নেউলে’ সম্পর্ক বিদ্যমান।টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে মাদুরো বলেন, ‘এ সঙ্কটের সময়ে… আমরা জো বাইডেনের ভবিষ্যৎ সরকারের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় সম্মানজনক ও আন্তরিকতার সঙ্গে শুরু করতে কাজ করবো। ’মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে কারাকাস। এসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশ জুয়ান গুয়াইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে ফেলে।

এ ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে মাদুরো বলেন, ‘আমি এবং আমরা সবাই জানি, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের মধ্যে একটা মাইনফিল্ড রেখে গেছেন। ’কিন্তু নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যাওয়াটা মাদুরোকে আশাবাদী করে তুলেছে। তিনি আশা করছেন, বাইডেন প্রশাসন লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘হস্তক্ষেপ’ বন্ধ করবে।যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও কিউবা, রাশিয়া, চীন, তুরস্ক এবং ইরান সবসময় ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য মাদুরোর ইচ্ছেপ্রকাশের বিষয়টি ইঙ্গিত করে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক চান না। যদিও তার চাওয়া অনুযায়ী আলোচনা হয় কি-না তাই এখন দেখার বিষয়।যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন বাইডেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পেয়েছে ২৯০ ইলেক্টোরাল ভোট আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ ইলেক্টোরাল ভোট।