শত্রুতা নয়, ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্ব চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এক সমাবেশে তিনি আরো বলেন, যারাই মার্কিনদের হুমকি দেবে তাদের কঠোর পরিণতি ভুগতে হবে।
এরমধ্যেই, ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের বিমান বাহিনী শাখা প্রধান বলেছেন, মধ্যাপ্রাচ্য ছেড়ে না গেলে যুক্তরাষ্ট্রকে চড়া মূল্য দিতে হবে। এদিকে, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদেও তুমুল বিতর্ক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার শার্লটে যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে শিকোগোসহ বিভিন্ন শহরে। এদিনই এক সমাবেশে অংশ নিয়ে ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার বিজয় উদযাপন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ডেমোক্র্যাটদের তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, শুধু বাগদাদ নয়, মার্কিন দূতাবাসগুলোতে হামলার জন্য সক্রিয়ভাবে পরিকল্পনা করছিলেন সোলাইমানি। আমরা তাকে দ্রুততার সঙ্গে থামাতে পেরেছি।
এদিন, ট্রাম্পের সামরিক ক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যে প্রতীকি একটি প্রস্তাব পাস করে ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদ। মার্কিনদের রক্ষায় সোলাইমানিকে হত্যা; ট্রাম্পের এ দাবির সঙ্গেও দ্বিমত পোষণ করেন পরিষদ স্পিকার।. এরমধ্যেই, মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে উৎখাতে বড় অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বিমান বাহিনী শাখার প্রধান।
ইরানি বিপ্লবী গার্ডসের বিমান বাহিনী প্রধান আমির আলি হাজিজাদদেহ বলেন, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাদের শিক্ষা দেয়া। মার্কিনদের বলছি, আপনাদের সরকারকে বুঝিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করুন। না হয় চড়া মূল্য দিতে হবে।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও তুমুল বিতর্ক হয়। সোলাইমানিকে হত্যার যৌক্তিকতা তুলে ধরে মধ্যপ্রাচ্যে স্বার্থ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। পাল্টা জবাবে ইরানি রাষ্ট্রদূত, ট্রাম্প প্রশাসনকে বিকৃতমস্তিকের সরকার বলে কাটাক্ষ করেন। শান্তি ও স্থিতিশীল রক্ষায় সবাইকে জাতিসংঘের প্রস্তাবনা মেনে চলার আহ্বান জানান সংস্থার মহাসচিব।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।