
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০১৯, ১৯:২২

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৪৯ জনকে হত্যা করা হয়। পাঁচটি বৈধ অস্ত্র নিয়ে ভয়াবহ ওই হামলা চালিয়েছে ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। ওই হামলাকারীর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল। স্থানীয় সময় শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ওই হামলা চালানো হয়। হামলার পর থেকেই ক্রাইস্টচার্চে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং পুরো দেশজুড়ে সব মসজিদ বন্ধ রাখা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডান বলেছেন, এই হামলা ছিল একটি উগ্র-সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং হামলাকারীর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল। তিনি বলেন, মসজিদের হামলার এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তির পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি লাইসেন্স ছিল। এই ঘটনার পর দেশের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার কথাও বলেছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা হামলার ঘটনার পর দুটি মসজিদ থেকেই গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে এবং সন্দেহভাজন একজনের গাড়ির ভেতর বিধ্বংসী ডিভাইস পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা জানিয়েছেন, হামলাকারী ওই ব্যক্তির কাছে দুটি সেমি অটোমেটিক অস্ত্র, দুটি শটগান এবং একটি লিভার অ্যাকশন আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের নভেম্বরেই অস্ত্রের লাইসেন্স করেছিল ব্রেন্টন। প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা বলেন, আমাদের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে। এর আগে ২০০৫, ২০১২ এবং ২০১৭ সালের অনুসন্ধানের পর অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়। তবে এখন অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর