ট্রাম্প জানান, জাতীয় নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত জুনে একই ১৯ দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল, এবার সেটিকে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় রূপ দেওয়া হলো।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালান আফগানিস্তান থেকে আসা এক শরণার্থী। এতে একজন সেনা নিহত হন এবং অন্যজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পর থেকেই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে শরণার্থী গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা আসে। মার্কিন সরকারের অফিসিয়াল বিবৃতিতেও হামলার ঘটনাটিকেই অভিবাসন কার্যক্রম বন্ধের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্প সমালোচনা করে বলেন, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেনসহ এসব দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য “হুমকি”। এমনকি তিনি এসব দেশের জনগণকে ‘আবর্জনা’ বলেও উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকে (সোমালি বংশোদ্ভূত) আক্রমণ করে একই শব্দ ব্যবহার করেন।
অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশগুলো হলো— আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।