প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১২
সম্প্রতি নেপালে সংঘটিত জেন-জি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। প্রথমে খবর আসে, তিনি পদত্যাগপত্র দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু, এক সপ্তাহের মধ্যে জানা যায়, তিনি সেনাবাহিনীর হেফাজতে আত্মগোপনে ছিলেন। কিছুদিন পরে নিজেই প্রকাশ্যে এসে তার অস্তিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এরপর কেপি শর্মা অলি নিজ দলের রাজনৈতিক এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। তিনি দেশের জনগণকে ফেরার বার্তা দেন এবং দাবি করেন, তারা এই ভিত্তিহীন সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে পালাবেন না। এ ঘটনার মাত্র এক মাসের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্য রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া দেশবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি নিজের রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠন গুন্ডুর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে তারা রয়েছেন এবং দেশের পুনর্গঠনেই তাদের লক্ষ্য। কেপি শর্মা অলি আরও বলেন, “আমরাই এ দেশকে গড়ব। আমরা দেশের সংবিধানকে পুনরায় মূল ধারায় ফিরিয়ে আনব। দেশের মানুষ শান্তি এবং সুশাসন পাবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসেনি। বরং তারা সহিংসতা ও ভাঙচুরের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে। কেপি শর্মা অলি দাবি করেন, কোনো ষড়যন্ত্রে তিনি জড়িত ছিলেন না। এছাড়া আন্দোলনের সময় প্রশাসনকে দেওয়া নির্দেশনার রেকর্ডিং প্রকাশ করার দাবি জানান।
তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দেশবাসীর জন্য নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন এবং নেপালের জনগণ যেন তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা ফিরে পান। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, দেশের জনগণকে সংবিধান ও আইনের আওতায় ফিরিয়ে আনাই তাদের মূল লক্ষ্য।
এদিকে, অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সরকার কেপি শর্মা অলি ছাড়াও তার সরকারের অন্যান্য অনেক মন্ত্রীর পাসপোর্ট জব্দ করার পরিকল্পনা করছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই পদক্ষেপ তার অধিকার ক্ষুণ্ণ করার একটি চেষ্টা।
কেপি শর্মা অলি প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফেরার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে থাকবে এবং নেপাল আবারও শান্তি ও সুশাসনের পথে এগোবে।