প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩
ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও আল-জাওফ প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ১৩১ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে অনেকেই আটকা পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। হামলার খবর বুধবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
হামলার প্রেক্ষিতে ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সানার আল-তাহরির আবাসিক এলাকা, একটি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং আল-জাওফ প্রদেশের রাজধানী আল-হাজমের সরকারি কমপাউন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষসহ অনেকেই আহত বা নিহত হয়েছেন।
হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সানার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত স্বাস্থ্য খাতের একটি মেডিকেল সেন্টার এবং আল-হাজমে সরকারি কার্যালয়কে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারে দাবি করেছেন, তারা ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করতে সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করেছেন। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছু ইসরায়েলি বিমান বাধ্য হয় ফিরে যেতে। তিনি বলেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরভাবে জায়নবাদী আগ্রাসন মোকাবিলা করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সানা ও আল-জাওফে হামলা চালানো হয়েছে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে। হামলার লক্ষ্য ছিল হুথিদের সামরিক শিবির, সামরিক জনসংযোগ সদর দপ্তর এবং একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগার।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, রামন বিমানবন্দরে হুথিদের ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই আঘাত হানা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আমাদের আক্রমণ করবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করে প্রতিক্রিয়া জানাব।
এ হামলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে মানবিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, নিরাপদ আশ্রয় ও ত্রাণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সামরিক সংঘর্ষের ফলে সাধারণ মানুষের জীবন ও বসবাসের পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইয়েমেনে সামরিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা চলমান থাকায় ভবিষ্যতেও সাধারণ মানুষ আরও ঝুঁকির মুখে থাকবে। ত্রাণ কার্যক্রম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।