প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৪
নেপালে কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পর দেশজুড়ে তরুণ ও ছাত্র-জনতার আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহের নাম সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসছে। তাঁর সমর্থকদের মধ্যে ‘বালেন দাই, টেক দ্য লিড’ হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে নেতৃত্বর আহ্বান করা হচ্ছে। এক সময় র্যাপার হিসেবে পরিচিত বালেন রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন এবং তরুণদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের একটি সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বালেন্দ্র শাহর নেতৃত্বে নেপালের নতুন সরকার গঠন করলে দেশকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। পুরনো প্রজন্মের শাসক ও রাজনৈতিক নেতা কেপি শর্মা অলি, শেরবাহাদুর দেউবা ও পুষ্পকমল দাহাল নেপালের নতুন রাজনৈতিক রূপে অংশীদার নন। তারা অতীতের সম্পদ লুটপাট ও শোষণের কারণে নেপালি জনগণের কাছে নেতিবাচকভাবে স্মরণীয়।
বালেন্দ্র শাহ সামাজিক মাধ্যমে তরুণদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং তরুণদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা জরুরি। তিনি মনে করান, নেপালের ভবিষ্যত তরুণদের হাতে, যারা দেশের উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা নেবে।_editorial_টি আরও উল্লেখ করেছে, আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও গন্তব্য স্পষ্ট, এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশকে নতুন পথে পরিচালিত করতে নতুন নেতৃত্ব অপরিহার্য।
তরুণদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং নেপালি সমাজের অঙ্গীকারকে সম্মান জানাতে হলে নতুন নেতা দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। ইতিহাসে দেখা গেছে, ১৯৯০ এবং ২০০৬ সালের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ নতুন নেতৃত্ব বেছে নিয়েছিল। বর্তমান আন্দোলনও সেই ধারার অংশ হিসেবে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে এগিয়ে এসেছে।
এছাড়া, আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে বালেনকে আহ্বান জানাচ্ছেন যাতে তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে নেতৃত্ব দেন। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের পথে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বালেনের নেতৃত্বে নেপাল একটি নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কৃতির দিকে অগ্রসর হতে পারে। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব, উদ্যোগ এবং জনগণের সমর্থন মিলিত হলে দেশকে স্থিতিশীল ও সুশাসনপূর্ণ পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব হবে। নেপাল এখন সেই পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে, যেখানে নতুন নেতৃত্ব দেশকে নিরাপদ, উন্নত এবং স্বচ্ছ প্রশাসনের পথে এগিয়ে নেবে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের এই সময় নেপালি সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এবং বালেন্দ্র শাহের সম্ভাব্য নেতৃত্ব এই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দিক নির্দেশ করছে।