প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০:৭
কুয়েতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিসহ মোট ১০ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে, মদপানের কারণে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আরব টাইমস বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুয়েতের আহমাদি গভর্নরেটের জলিব আল শুয়ুখ এলাকার ৪ নম্বর ব্লকে। এখান থেকেই নিহতদের মদ সরবরাহ করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। মদপানের পরপরই তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং একে একে প্রাণ হারান তারা।
নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বাসিন্দা মোনায়েম মিয়া। তিনি কুয়েতের ন্যাশনাল কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল ও সংশ্লিষ্ট কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মদে বিষাক্ত উপাদান মিশ্রিত থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আরব টাইমস জানিয়েছে, কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং নিহতদের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরে বিষক্রিয়ার লক্ষণ পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
কুয়েতে মদপান আইনত সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত হলেও অবৈধভাবে মদ বিক্রি ও সেবনের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। বিশেষ করে কিছু এলাকায় নিম্ন আয়ের প্রবাসীদের মধ্যে এসব অবৈধ পানীয়ের ব্যবহার বেশি। অনেক সময় এসব পানীয়তে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হয়, যা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়।
নিহতদের মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি অবগত হয়ে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিতকরণ এবং পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। পরিবারগুলোকে সংবাদ পৌঁছানোর কাজও চলছে।