প্রকাশ: ৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৭
ইসরায়েল গাজা দখল করে রাখার কোনো পরিকল্পনা করছে না বলে জানিয়েছে। দেশটি বরং একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী স্থাপন করতে চায়, যা তাদের সীমান্তের সুরক্ষার জন্য কার্যকর হবে বলে দাবি করছে। ইসরায়েলি নেতৃত্ব জানিয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়া নয়, বরং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তবে এখনো স্পষ্ট নয়, ভবিষ্যতে গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব কোন পক্ষের হাতে যাবে। এই প্রশ্নের উত্তর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি, ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
গত কয়েক দিন ধরেই ইসরায়েল গাজা দখলের ইঙ্গিত দিচ্ছিল বলে ধারণা করছিলো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও কূটনৈতিক সূত্র। সামরিক উপস্থিতি ও চলমান অভিযানের কারণে এমন জল্পনা আরও জোরদার হয়।
এই পরিস্থিতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কার্যত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, গাজা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্পূর্ণ ইসরায়েলের বিষয়।
ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ইসরায়েলের প্রতি এক ধরনের রাজনৈতিক সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এই সমর্থন ইসরায়েলকে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ গ্রহণে আরও সাহসী করে তুলতে পারে।
তবে ফিলিস্তিনি পক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় যে কোনো ধরনের স্থায়ী সামরিক উপস্থিতির বিরোধিতা করছে। তাদের মতে, এটি স্থানীয় জনগণের জন্য আরও সংকট ও অস্থিরতা বয়ে আনবে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বেষ্টনী পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন কে পরিচালনা করবে, সেই প্রশ্নের উত্তর না আসা পর্যন্ত এই ইস্যুতে অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকবে।
পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে কূটনীতিকরা সতর্ক করছেন। গাজার ভাগ্য নির্ধারণের আলোচনায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।