প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০:৪৯
রাশিয়া থেকে তেল কেনার জের ধরে ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার এক নির্বাহী আদেশে তিনি এই শুল্ক আরোপে স্বাক্ষর করেন। নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার দাঁড়াবে ৫০ শতাংশে।
ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি আমদানি করে ভারত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেছে। সেই কারণেই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এই শুল্ক কার্যকর হবে।
ভারতের জন্য এটা এক বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে দেশটির আমদানি-নির্ভর রপ্তানি খাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে যেসব খাত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, তাদের ওপর এই শুল্কের প্রভাব পড়বে বেশি।
তবে শুল্ক আরোপে কিছু ছাড়ও রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো নির্দিষ্ট খাতের পণ্য আগের মতোই শুল্কছাড়ের আওতায় থাকবে। একইভাবে, ওষুধসহ কিছু সংবেদনশীল খাতের পণ্য আপাতত এই অতিরিক্ত শুল্কের আওতার বাইরে থাকবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। একইসঙ্গে, ভারতের বিকল্প বাজার খোঁজার প্রয়াস আরও জোরালো হতে পারে।
এদিকে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং দ্রুত উপযুক্ত কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের ওপর মার্কিন শুল্কের চাপ দ্বিগুণ হয়েছে, যা উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশ্বের দুই বড় অর্থনীতির মধ্যে এই উত্তেজনা বৈশ্বিক বাণিজ্যেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।