প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১০:১
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্রতর হয়েছে। এবার ইরানের ভেতরে অবস্থিত তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার সকালে এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও পুনরায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হামলার পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ইরানের অভ্যন্তরে এমন স্পর্শকাতর স্থাপনায় হামলা অঞ্চলজুড়ে নতুন করে সংঘাতের শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
দখলদার ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যৌথভাবে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের কাজ করে। হামলার সময়ও দুই পক্ষ তথ্য আদান-প্রদান করেছে বলে দাবি তার।
হামলার খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দেশজুড়ে জারি করেছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। হোম ফ্রন্ট কমান্ডের পক্ষ থেকে জনজীবনে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইসরায়েলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একসঙ্গে অনেক মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নাগরিকদের অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক পরিবার জরুরি আশ্রয়স্থলে চলে যাচ্ছে এবং সুপারশপে ভিড় করছে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ কিনে রাখার জন্য।
অপরদিকে, ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তেহরান থেকে কড়া জবাব আসতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়া পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে। শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে কয়েকটি কূটনৈতিক মহল থেকে।