ইরানের হামলার পর বিয়ারশেবায় আগুন ও গোলাবারুদের ধ্বংসযজ্ঞ

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের দক্ষিণ শহর বিয়ারশেবায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। সিএনএন প্রতিবেদনে জানা গেছে, শুক্রবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার পরই আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। ক্ষিপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবাগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিয়ারশেবার একটি রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলছে। আগুন লাগার এলাকায় মাইক্রোসফট অফিস এবং একটি প্রযুক্তি পার্কও অবস্থিত। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার পাশাপাশি দক্ষিণ অঞ্চলে খোলা স্থানে গোলাবারুদ পড়ে গেছে। এই কারণে কিছু সম্পত্তির ক্ষতি হলেও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিয়ারশেবা ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এখানেই নেভাটিম বিমানঘাঁটি রয়েছে, যেখানে সামরিক সরঞ্জামও সংরক্ষণ করা হয়। তাই এই এলাকায় আঘাত প্রয়োগের পেছনে কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই শহরের সোরোকা মেডিকেল সেন্টার নামক প্রধান হাসপাতালও ইরানের হামলার শিকার হয়।

নেগেভ মরুভূমিতে এই ধরনের হামলা ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। একদিকে ইরান বিভিন্ন লক্ষ্যবস্থুর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে, অন্যদিকে ইসরায়েল প্রতিরোধে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এ ধরনের সামরিক কার্যক্রম শহরের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বিয়ারশেবার বাসিন্দারা। জরুরি পরিষেবাগুলো এই পরিস্থিতিতে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যাপক চেষ্টার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তেজনাকে গভীরভাবে নজর রাখা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, চলমান সংঘাত বড় ধরনের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং সকল পক্ষকে শান্তির পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।