প্রকাশ: ৭ জুন ২০২৫, ২১:২০
চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন তীব্র গরম উপেক্ষা করেই নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক পরিবেশে হজ সম্পন্ন করেছেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত ১৬ লাখেরও বেশি মুসল্লি। হজের পুরো সময়জুড়ে এমনকি অতিরিক্ত গরমেও কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, যা গত বছরের তুলনায় একটি বড় অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এবার হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। বিশেষ করে ছায়াযুক্ত স্থান বৃদ্ধি, আধুনিক কুলিং সিস্টেমের ব্যবহার, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ এবং সচেতনতা কার্যক্রমের ফলে গরমজনিত অসুস্থতা গত বছরের তুলনায় ৯০ শতাংশ কমেছে।
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও দক্ষ ও আধুনিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই হজের সময় এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়। ডাক্তার, নার্স এবং সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই সফলতা এসেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের মতে, ভিশন ২০৩০ এর অন্যতম লক্ষ্য হলো হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে চলতি বছর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার ফলে প্রতিটি হাজি তার ইবাদত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন।
সাধারণত জুন মাসে সৌদি আরবে প্রচণ্ড গরম পড়ে, দিনে তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে দেখা যায়। এমন আবহাওয়ায় হজ পালন করা মুসল্লিদের জন্য চ্যালেঞ্জের হলেও এ বছর পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত ছিল।
গত বছরের হজ ছিল অনেকটাই ভিন্ন। ২০২৪ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত হজে গরমের কারণে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ১৩০০ মুসল্লি এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কয়েক হাজার। সে অভিজ্ঞতা থেকেই এবার প্রস্তুতি আরও জোরদার করা হয়।
চলতি বছর ৪ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত হজ অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি পরিসংখ্যান দপ্তর গাস্তাত জানিয়েছে, এবার হজে অংশগ্রহণকারী ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জনের মধ্যে সৌদি নাগরিক ছিলেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫০ জন। বাকিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছিলেন।
সৌদি সরকারের এমন উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মুসল্লিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। গরম উপেক্ষা করে এবারকার শান্তিপূর্ণ হজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসার দাবি রাখে।