প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১৯:৪৬
কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে টানা ১৯ দিনের সামরিক উত্তেজনার সময় ভারত যে কয়েকটি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, তা অবশেষে স্বীকার করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। যদিও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এতদিন বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল, এবার তারা জানিয়েছে—সংঘাত চলাকালে ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, যা ভারতের গর্বের প্রতীক।
শনিবার ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনীল চৌহান প্রথমবারের মতো এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিমান হারানো নয়, বরং কেন ও কীভাবে সেগুলো ভূপাতিত হয়েছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অনুষ্ঠানটি ছিল সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা ডায়ালগ, যেখানে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনার ফাঁকে চৌহান এ মন্তব্য করেন। তিনি পাকিস্তানের ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবিকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করলেও পরোক্ষভাবে ভারতীয় ক্ষয় স্বীকার করেন।
চৌহান বলেন, আমরা ভুল করেছি এবং সেই ভুল থেকে শিখে দুই দিনের মাথায় আবার সফল অভিযানে অংশ নিয়েছি। তবে সংঘাতে ঠিক কতটি বিমান ধ্বংস হয়েছে তা নিয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
পাকিস্তান অবশ্য আগেই দাবি করেছিল, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’ অভিযানের সময় তারা একাধিক যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে, যার মধ্যে রাফালও রয়েছে। এই দাবি শুধু রাজনৈতিক নয়, সামরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশেষত রাফাল ভূপাতিত হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ ২০০৪ সালে ফরাসি নৌবাহিনী ও ২০০৬ সালে ফরাসি বিমানবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার পর রাফালের এমন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা আগে কখনও সামনে আসেনি।
ফ্রান্সের এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তা সত্যি হলে রাফালের নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এই ঘটনার পর ফরাসি কর্তৃপক্ষও নিজ দেশের উৎপাদিত এই বিমান নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু করেছে।
