প্রকাশ: ৬ মে ২০২৫, ২০:৪০
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিকভাবে উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তানের পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে কাতার। সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিমের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে মোহসিন নাকভি ভারতের আগ্রাসী মনোভাব সম্পর্কে কাতারকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, পহেলগাঁও হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তে পাকিস্তানের আহ্বানই এর শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে প্রমাণ করে। কিন্তু ভারত তার বিপরীতে কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না, বরং সীমান্তে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে কাতারের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, কাতার সবসময় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পক্ষে এবং যে কোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায়। তিনি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানান, ভারত যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এমন সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সজাগ এবং প্রয়োজনে যথাযথ জবাব দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, ভারতের ভিত্তিহীন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট হবে হামলার পেছনে প্রকৃত দায় কার এবং এতে ভারতের অভ্যন্তরীণ কোনো গোষ্ঠী জড়িত কি না।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসাও করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে দেশটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।
পাকিস্তান আশা করছে, আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তায় এই উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আবারও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব হবে।
এই মুহূর্তে গোটা দক্ষিণ এশিয়া কূটনৈতিকভাবে বেশ উত্তেজনাপূর্ণ সময় পার করছে। শান্তি বজায় রাখতে প্রতিটি পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল।