প্রকাশ: ৬ মে ২০২৫, ১০:৫০
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্ত জুড়ে বাড়ছে সামরিক সরঞ্জাম ও নজরদারি। এতে করে সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং তারই প্রস্তুতি হিসেবে আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মীর। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে আটার মজুদের ওপর।
ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের খাদ্য বিভাগ ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত আটা সরবরাহের কার্যক্রম শুরু করেছে। মজুদের পাশাপাশি সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং জরুরি তহবিলও গঠন করা হয়েছে যাতে যুদ্ধাবস্থায় সাধারণ মানুষের খাদ্য সংকট না হয়।
জানা গেছে, আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হকের সরাসরি নির্দেশনায় সীমান্তবর্তী ১৩টি ঝুঁকিপূর্ণ আসনে অন্তত দুই মাসের জন্য পর্যাপ্ত আটা মজুদ নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে।
এই ১৩টি আসনের মধ্যে রয়েছে নীলাম উপত্যকা, ঝিলাম উপত্যকা, হাভেলি, পুঞ্চ, কোটলি ও ভিম্বার। বরফাবৃত দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোর সঙ্গে স্বাভাবিক সময়ে যোগাযোগ রক্ষা করাই কঠিন, সেখানে যুদ্ধের সময় খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে এমন আশঙ্কায় আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজাদ কাশ্মীরের খাদ্যমন্ত্রী চৌধুরী আকবর ইব্রাহিম জানান, সীমান্তে যেকোনো রকম গোলাবর্ষণের সম্ভাবনায় খাদ্য গুদামগুলো সরিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হচ্ছে এবং বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খাদ্য বিভাগের পরিচালক আবদুল হামিদ কিয়ানি জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ আটা সরবরাহের কাজ শেষ হয়েছে এবং অবশিষ্ট অংশ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
শনিবার মুজাফফরাবাদের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি আটা মিল থেকে প্রায় ২৫০ টন আটা পাঠানো হয়েছে নীলাম ও ঝিলাম উপত্যকার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে, যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত।
এভাবে যুদ্ধের শঙ্কায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আজাদ কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ, যা ভবিষ্যতের জন্য এক ধরনের সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে।