প্রকাশ: ৬ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৩৫
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলা আবারও নতুন করে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে নিরীহ নারী ও শিশুদের। একের পর এক বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজার খান ইউনিস, শুজাইয়া ও জেইতুনসহ বিভিন্ন এলাকা। রোববার ভোরে খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় নারী ও শিশুর দেহ। ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল আল-মাধৌন জানিয়েছেন,
ঘুমের মধ্যেই তাদের বাড়ির ওপর ছাদ ধসে পড়ে। বোমা হামলায় নিহত আটজনের সবাই নারী ও শিশু। তার ভাষায়, ইসরাইলি বাহিনী মিথ্যা বলছে যে তারা যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে মুসলিম পরিচয়ের মানুষ হত্যা করাই তাদের মূল লক্ষ্য। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৬ ফিলিস্তিনি। Khan Yunis-এর বিভিন্ন অংশে আবাসিক ভবন, স্কুলের পাশে ঘরবাড়ি ও বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ধ্বংসস্তূপের ভেতর এখনও চলছে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা।
অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেনারা নতুন একটি সামরিক করিডর তৈরির নামে দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন অংশ একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। ইসরাইলি বাহিনী বলছে, এই করিডর বাস্তবায়িত হলে রাফা নগরী পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং ওই এলাকায় অভিযান চালানো তাদের জন্য সহজ হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহলের নীরবতা ও মুসলিম বিশ্বের নিস্ক্রিয়তাই ইসরাইলকে এ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে আরও সাহসী করে তুলেছে।