ফেনীর মহুরী নদীর উজান থেকে বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটরের পুনঃনির্মাণের দাবিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের জনগণ জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আল্টিমেটাম দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এই আল্টিমেটাম দেয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীমের গাফিলতিতে মুছাপুর রেগুলেটরের নির্মাণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। রেগুলেটরের বিলীন হওয়ার কারণে শত শত বাড়ীঘর নদীতে তলিয়ে গেছে এবং ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও, বক্তারা অভিযোগ করেন যে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রেগুলেটরের বিলীনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জন্য বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জাকে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণে আরও বিলম্ব হলে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর চেয়ারে বসে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনছারী, সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ আল হারুন, বসুরহাট পৌরসভার জামায়াতের আমির মাওলানা মোশারেফ হোসেন, এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে রয়েছে এবং তারা বর্তমানে স্টাডি করছে। কাজটি একদিনে সমাধান হওয়ার নয়, এ ধরনের পদক্ষেপ সময়সাপেক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।