জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া কিশোর আরাফাত হুসাইন (১২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই মাদ্রাসা ছাত্র।
আরাফাত রাজধানীর উত্তরা জামিয়া রওজাতুল উলুম মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার, সহপাঠী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় শহীদ মিনারে আরাফাতের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর তাকে রাজধানীর উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে আরাফাতের শরীরে একাধিক গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে সেই উদ্যোগ সম্পন্ন হওয়ার আগেই মৃত্যু ঘটে তার।
আরাফাতের মৃত্যুতে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
শহীদ মিনারে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনাটি শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, বরং গোটা সমাজের জন্য একটি দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক স্মৃতি হয়ে থাকবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নাগরিক নিরাপত্তার ওপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আরাফাতের মৃত্যু কেবল একটি জীবনহানির ঘটনা নয়, এটি শিশু অধিকার এবং নিরাপত্তার প্রতি আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে নতুন করে ভাবার সুযোগ এনে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।