সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডে আট ও নয়তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই দুই তলার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।
৭ নম্বর ভবনে রয়েছে একাধিক মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের দপ্তর। এর মধ্যে রয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে ভবনটিতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরিস্থিতির অবনতি হলে একে একে ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সহযোগিতা করে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানান, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ভবনটির ভেতরে থাকা নথিপত্রের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচিবালয়ের এলাকায় বাড়তি পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়া আগুনের কারণ খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতির তথ্য উঠে আসে, তা ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সহায়ক হবে।
আগুন নেভানোর সময় এক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। একজন ফায়ার ফাইটার, যিনি পানির সংযোগ দিচ্ছিলেন, দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এবং পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শোকাহত।
সচিবালয়ের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পুরো দেশে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।