হ্যারির স্ত্রীর কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে!

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ১৪ই জানুয়ারী ২০২৩ ০৭:২৭ অপরাহ্ন
হ্যারির স্ত্রীর কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে!

ব্রিটিশ রাজপরিবারকে ক্ষমা চাইতে হবে প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেলের কাছে, এমনটাই দাবি করেছেন হ্যারি। সম্প্রতি প্রকাশিত তার স্মৃতিকথামূলক বই ‘স্পেয়ার’ অনুসারে এমন তথ্য উঠে এসেছে। 


নিজের প্রকাশিত বইটিতে প্রিন্স হ্যারি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনেছেন। পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে তিনি যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন তার বিশদ বিবরণ উঠে এসেছে বইটিতে। বইটি প্রকাশ হওয়ামাত্র দারুণ সাড়া ফেলেছে পাঠকদের মাঝে।


‘স্পেয়ার’ প্রকাশের আগে প্রিন্স হ্যারি বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং রাজপরিবারে তাঁর ও স্ত্রী মেগান মার্কেলের কঠিন যাত্রা সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফের সাথে একটি সাক্ষাৎকারেও প্রিন্স হ্যারি রাজপরিবারের ক্ষমাপ্রার্থনা চেয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘তারা জানে না তারা কী করেছে। তবে কেন এসব করেছে সেটা আমি জানি। তারা ধরা পড়ে গেছে। তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।’ 


গণমাধ্যমকে প্রিন্স হ্যারি আরো জানান, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা চাইলে অনেক কিছুই এড়িয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তারা সে পথে হাঁটেননি। বরং হ্যারি-মেগানকে পাড়ি দিতে হয়েছে দুর্বিষহ যন্ত্রণার পথ। এর আগেও হ্যারি অভিযোগ করেছিলেন, ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেগান মার্কেলের চেয়ে কেট মিডলটনের পক্ষে বেশি পক্ষপাতিত্ব করেছে। মেগানকে ভয়াবহ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন হ্যারি। স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি। 


সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে হ্যারি ও মেগান মার্কেলের প্রেম ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাথে সম্পর্কের চড়াই-উতরাই অবলম্বনে নির্মিত ডকুমেন্টরি সিরিজ ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ প্রচারিত হয়েছে। সিরিজটি ২০২২ সালে নেটফ্লিক্সের জন্য বেশ বড় একটি সাফল্য ছিল। সিরিজটিতে হ্যারি-মেগানের প্রেম, বিয়ে ও রাজপরিবারের শিকল ছিঁড়ে হ্যারির বেরিয়ে আসার বিশদ তুলে ধরা হয়েছে।


প্রিন্স হ্যারি তার বই ‘স্পেয়ার’-এ ব্রিটিশ রাজপরিবারের অনেক অজানা তথ্য, প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের ওপর রাজপরিবারের অন্যায়-অত্যাচারসহ নানা বিষয় তুলে এনেছেন। এমনকি হ্যারির মা ডায়ানার জীবনের অনেক অধ্যায়ও উঠে এসেছে বইটিতে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের চাপানো শৃঙ্খলার বেড়াজাল থেকে কিভাবে ডায়ানা নিজেকে বের করে এনেছিলেন, সেসব স্মৃতিচারণাও করেছেন হ্যারি তার লেখায়। ১০ জানুয়ারি প্রকাশের পর থেকে প্রিন্স হ্যারির বইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যে ১.৪ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। 


এখন পর্যন্ত বাকিংহাম প্যালেস বা রাজপরিবারের কেউই হ্যারির বইটি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি। এর আগে যখন লিভারপুলের একটি রাজকীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটন, তখন প্রিন্স হ্যারির বই সম্পর্কিত সমস্ত প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন দম্পতি।


সূত্র : ডেইলি মেইল ইউকে