পোষ্য রাখার নানা ভালো দিক তো রয়েইছে। একাকিত্বে সঙ্গ দেওয়া থেকে শুরু করে আরও কত কি! তবে আদরের পোষ্য যে এইভাবে জীবন বাঁচাবে, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি এই মহিলা। আপাতত তাঁর জীবনে একমাত্র সুপারহিরো তাঁর সেই পোষ্য বিড়ালটিই। কী করেছে সেই বিড়াল? আসুন, শুনে নেওয়া যাক সেই গল্পই।
পোষ্যমাত্রেই মালিক বা মালকিনের প্রতি যে তাঁর প্রভুভক্তি থাকবে, তা তো জানা কথা। তাঁদের বুকে আগলে রাখতে চেষ্টার কসুর করে না তারা। আদরের পোষ্য বিড়ালটির সঙ্গে এই মহিলার সম্পর্কও ছিল অনেকটা তেমনই।
ইংল্যান্ডের নটিংহামের বাসিন্দা স্যাম ফেলস্টিড। মা ছাড়াও তাঁর বাড়িতে থাকত প্রিয় পোষ্য বিলি। সেদিন ভোর চারটে কি সাড়ে চারটে হবে। হঠাৎই বিলির ডাকে ঘুম ভেঙে যায় ৪২ বছরের স্যামের। তাঁর বুকের উপরে উঠে কানের কাছে হঠাৎই ম্যাও ম্যাও করতে শুরু করে বিড়ালটি। ঘুম ভেঙে যায় স্যামের। তবে বুঝতে পারেন, নড়াচড়ার ক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি। সারা গা ঘামে ভেজা। তার সঙ্গে শরীরের ডান দিকটায় যেন অসহ্য একটা যন্ত্রণা। অসহায় ভাবে মাকে ফোন করেন স্যাম। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন স্যাম। চিকিৎসকেরা জানান, ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পোষ্য বিড়ালটির জন্যই কোনওমতে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। ঠিক সময়ে ঘুম না ভাঙলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত তাঁর। তাঁর আর্টারিতে বেশ কিছু ব্লকেজ আছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসেকরা।
স্যাম জানিয়েছেন, সেদিন কিছু একটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছিল বিলি। না হলে এ ভাবে ঘুম কোনওদিনও ভাঙানোর চেষ্টা করেনি সে। কানের কাছে মুখ এনে ডাকাডাকিও এই প্রথম। স্যামের শারীরিক অসুস্থতা পোষ্যের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি মোটেও। আর তার জন্যই জীবনটা বেঁচে গিয়েছে ওই মহিলার।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরে কিন্তু বিলির মধ্যে কোনও অস্থিরতা লক্ষ্য করেননি স্যাম। প্রতিদিনের মতোই নিরুত্তাপ সে। এত বড় একটা কাণ্ড করেও কোনও হেলদোল নেই তার মধ্যে। প্রিয় পোষ্যকে তো ভালবাসতেন স্যাম বটেই। তবে এই ঘটনার পরে বিলির প্রতি স্নেহ আরও বেড়ে গিয়েছে তাঁর। আজ তিনি বেঁচে আছেন শুধু ওই পোষ্যটির জন্যই। সেই ঋণ কোনওদিন তিনি শোধ করতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন স্যাম।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।