মাদক সংক্রান্ত এক মামলায় ১১ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রেমিককে কারাগারে দেখতে গেছিলেন প্রেমিকা। সাক্ষাতের এক পর্যায়ে প্রেমিকের ঠোটে চুমু এঁকে দেন তিনি। আর সেই চুমুতেই ইহলীলা সাঙ্গ হলো প্রেমিকের।
এ প্রসঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ওই তরুণী পরিকল্পনা অনুযায়ী ছোট বেলুনে নিষিদ্ধ মাদক মেথিঅ্যাম্ফিটামিন মুখের ভেতরে ভরে নিয়েছিলেন। পরে চুম্বনের সময় তা প্রেমিকার মুখের ভেতরে দিয়ে দেন। আর এই চুম্বনই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায় প্রেমিকের জন্য, মুহূর্তেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন প্রেমিক। খবর এপি, নিউইয়র্ক টাইমসের।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য টেনেসির একটি কারাগারে। টেনেসির এক কারাগারে মেথিঅ্যাম্ফিটামিন ভরা ছোট বেলুন মুখের ভেতর লুকিয়ে চুম্বনের মাধ্যমে কারাবন্দী প্রেমিককে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, চুম্বনের মাধ্যমে দেয়া মেথিঅ্যাম্ফিটামিনের অতিরিক্ত মাত্রায় কারাবন্দী প্রেমিক মারা যাওয়ায় ওই নারীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
টেনেসির ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশন বলেছে, রাজ্যের ডিকসন এলাকার ৩৩ বছর বয়সী রাচাল ডলার্ড নামের ওই নারীর বিরুদ্ধে গত শনিবার সেকেন্ড-ডিগ্রি খুন ও কারাগারে নিষিদ্ধ মাদক বহনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এই মামলায় ওই নারী কোনো আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
২০১৭ সালে ওরিগনের একটি কারাগারে একই ধরনের একটি প্রাণঘাতী চুম্বনের ঘটনা ঘটে। সেই সময় মেলিসা অ্যান ব্লেয়ার নামের এক তরুণী কারাগারে বন্দী প্রেমিক অ্যান্থনি পাওয়েলকে চুম্বনের মাধ্যমে মেথিঅ্যাম্ফিটামিন ভরা সাতটি ছোট বেলুন মুখে ভরে দেন। দুটি বেলুন পেটের ভেতর ফেটে গেলে অতিরিক্ত মাত্রার কারণে প্রাণহানি ঘটে অ্যান্থনির। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কারাদণ্ড দেয়া হয় ওই প্রেমিকাকে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।