প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২২, ০:২৬
আমাদের দেশে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঈশ্বরের আসনে আসীন। কেন না, তাঁদের হাতেই আমাদের আগামী প্রজন্মকে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকরা নিজেদের মহান কর্তব্য ভুলে শুধুমাত্র নিজেদের তল্পি গুটিয়ে নিতে ব্যস্ত।
শিক্ষার মানে ব্যাপক গড়পতনই আজকের ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশ্যই এই মন্তব্য সকল শিক্ষাকর্মীদের ওপরে বর্তায় না। এখনও এমন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন যাঁরা নিজেদের মহান কর্তব্যকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন।
যদিও সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হরদোই গ্রাম থেকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও শিক্ষাব্যবস্থার এমন বেহাল দশাকেই আরও সত্যি বলে প্রমাণ করে দিয়েছে।
ওই হরদোই গ্রামের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকার ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়ে-চড়ে বসেছে প্রশাসন। কী রয়েছে ওই ভিডিওতে? ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে পোখারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে একটি চেয়ারে আরামে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে এবং অন্য শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে ক্লাস চলাকালীন দিব্যি দৌড়াদৌড়ি করছে। এখানেই এক ছাত্রকে ওই শিক্ষিকার শরীর মালিশ করতে দেখা যাচ্ছে।
বাওয়ান ব্লকের বেসিক এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের অধীনে একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা উর্মিলা সিং শিশুদের পড়ানোর পরিবর্তে তাঁদের দিয়ে শরীর মালিশ কাজ করাচ্ছেন দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে।
ওই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পরই, বেসিক শিক্ষা অধিকারী তাঁর বরখাস্তের আদেশ জারি করে। শিক্ষিকার কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে হরদোই বেসিক এডুকেশন অফিসার বিপি সিং বলেছেন, “আমিও এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছি।
প্রাথমিক ভাবে শিক্ষিকাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁর সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”তিনি আরও বলেন, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই অভিভাবকদের মতে, তাঁদের সন্তানেরা শিক্ষিকের আচরণের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিল। তারা জানিয়েছিল যে, তিনি খুব রাগী মানুষ ছিলেন, তবে অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করার পরেই ওই মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা জানিয়েছেন।