ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের তথ্য সারা দুনিয়ার সাথে শেয়ার করতে গিয়ে অনেকেই এখন সজাগ হয়েছেন। কিন্তু তারপরও অনেক সময় তাদের গোপন তথ্য বেরিয়ে পড়ছে৷ ফলে এই সোশ্যাল মাধ্যমে নিজের তথ্য দিতে গিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্নই হচ্ছেন৷ কারণ ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বজায় থাকছে না৷ আর সেই আশংকা থেকে ফেসবুকের ‘ফেস রিগকনিশান’ বা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চেহারা চিনে ফেলার প্রযুক্তির সমালোচনা চলছে। এই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিটির মাধ্যমে ব্যক্তির মুখ চিনে ফেলার বিষয়টিকে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে বর্ণনা করছেন প্রচারকারীরা। ফলে মোটের উপর পরিস্থিতির চাপে ফেসবুকের গোপনীয়তার নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন করতে চলেছে। তারই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি নিজের একটি ব্লগ পোস্টে এই ব্যাপারে তথ্য তুলে ধরেছেন মার্ক জুকারবার্গ।
জুকারবার্গের পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি ফেসবুকের আলাপচারিতায় আরও বেশি গোপনীয়তার নীতিতে চাইছেন৷ দু’জন ব্যক্তি যখন ফেসবুকে চ্যাট করবেন তখন তাদের আলাপ আলোচনা ভবিষ্যতে এনক্রিপটেড থাকবে বলে জানিয়েছেন ফেসবুক কর্তা৷
এই প্রসঙ্গে লন্ডনের কিংস কলেজের মিডিয়া, কমিউনিকেশন এন্ড পাওয়ার বিভাগের ড. মার্টিন মুর বলেছেন, জুকারবার্গ হয়তো চীনের কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তার বক্তব্য, চীনে উইচ্যাট বলে যোগাযোগের যে অ্যাপটি রয়েছে সেটির ব্যবহার করতে হলে এখন একটি নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়। উই চ্যাটের এখন গ্রাহক ৯০ কোটি। বিজ্ঞাপন না নিয়েও যে এমন পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জন করা যায় সেই বিষয়টিই এখন ফেসবুককে আকর্ষণ করছে বলে মনে করছেন ড. মার্টিন মুর।
ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক চলছে। চেহারায় বা চুলে খুব সামান্য একটুখানি হেরফের আনলেই ফেসবুক রিকগনিশন প্রযুক্তিকে খুব সহজেই ফাঁকি দেওয়া যায় বলেও অভিমত প্রকাশ করেছেন অনেকে। এই বিষয়ে প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল এর ফ্রেডরিক কালটিওনার বলছেন, নিরাপত্তার প্রসঙ্গটি দুই ধরণের প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এরমধ্যে এই ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার কতখানি বিশ্বাসযোগ্য সেটি হচ্ছে একটি প্রশ্ন। আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রযুক্তির ব্যবহার আদৌ যথার্থ কিনা?
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।