সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট চলছে, যা পাঠদানের মান ব্যাহত করছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদসহ মোট আটটি পদ শূন্য থাকায় ৫৬৬ জন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দিয়েছে। শিক্ষক সংকট নিরসনে স্থানীয় প্রশাসন এবং শিক্ষা বিভাগ চেষ্টা করলেও তেমন কোনো কার্যকর সমাধান এখনো আসেনি।
সরাইলের এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি ১৮৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রয়াত রায় বাহাদুর অন্নদা প্রাসাদ রায় নিজের নাম অনুসারে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। তবে জাতীয়করণের পর থেকেই শিক্ষক সংকট সমস্যায় পড়েছে এটি। বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষকের স্থলে মাত্র ৯ জন শিক্ষক দিয়ে কোনোরকমে পাঠদান পরিচালিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাস জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে তারা বাধ্য হয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকদের সাহায্য নিচ্ছেন। তবে শিক্ষার মান ধরে রাখতে এবং পরীক্ষার ফলাফল ভালো রাখতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার বলেন, শিক্ষক সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইনও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা হলেন দেবব্রত দাস (ইংরেজি ও সামাজিক বিজ্ঞান), আকতার উন নাহার (ইংরেজি), মো. সোহাগ হোসেন (ভৌত বিজ্ঞান), অপু নাগ (জীববিজ্ঞান), মো. কাউসার আহমেদ (ব্যবসা শিক্ষা), মো. হাদিস মিয়া (গণিত), মো. রেজাউল হক খান (গণিত), মো. জাকির হোসেন (কৃষি শিক্ষা), এবং মুহাম্মদ মুসা মিঞা (শারীরিক শিক্ষা)।
এমন সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষক সংকট নিরসনে সরকারি উদ্যোগ ও দ্রুত পদায়নের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি আবারও তার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসবে—এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।