ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ অর্থাৎ আইপিএলের মিডিয়া রাইটসের ই নিলাম শুরু হয়েছে৷ বর্তমানে ন্যাশানাল ফুটবল লিগ (এনএফএল), ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল), আর মেজর বেসবলের পরেই চতুর্থ নম্বরে আসে আইপিএল৷ বিসিসিআইয়ের আশা খুব দ্রুত নিলামের পরেই আইপিএল এক ধাক্কায় দু নম্বরে উঠে আসবে৷
ইতিমধ্যেই ই কমার্সের জায়ন্ট অ্যামাজন মিডিয়া রাইটস (২০২৩-২০২৭) -র দৌড় থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে৷ স্পোর্টস ব্রডকাস্টার ডিজনি হটস্টার, সনি এবং ভায়াকম ১৮ এই তিন জায়ন্ট এখন নিলামে অংশ নিচ্ছে৷ গতবার স্টার ইন্ডিয়া ২০১৮ থেকে ২০২২ অবধি আইপিএল ইন্ডিয়ার ব্রডকাস্ট মিডিয়া রাইটস জিতেছিল৷ স্টার ইন্ডিয়া গ্লোবাল বিডে ১৬,৩৪৭ হাজার কোটি টাকার সবচেয়ে বড় বিড হেঁকেছিল৷ বিসিসিআই এবারের নিলামের সর্বনিম্ন মূল্য ৩২,৮৯০ কোটি টাকা রেখেছে৷
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে আধার মূল্যের ওপরে যায় তাতে আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুতে প্রচুর লাভ হবে৷ জয় শাহ সম্পর্কে বলা যায়, ‘‘বর্তমানে এনএফএল এক ম্যাচের ব্রডকাস্টের জন্য ১৭ মিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ এই কোনও স্পোর্টস লিগের সবচেয়ে বেশি৷ এরপরে ইংলিশ প্রিমিয়ার সিগে ১১ মিলিয়ন ডলার রয়েছে, মেজর লিগ বেসবলের পরিসংখ্যান প্রায় সমান৷
গত পাঁচ বছরের চক্রে এক আইপিএল ম্যাচ থেকে ৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছেন৷ এই বিষয়ে আমার নূন্যতম আধার মূল্য নির্ধারিত করা হয়েছে৷ এটা দেখে বিসিসিআইয়েক প্রতি আইপিএল ম্যাচের জন্য ১২ মিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ তাই দেখে বিসিসিআই প্রতি আইপিএল ম্যাচ থেকে ১২ মিলিয়ন ডলারের ভুক্তি হয়েছে৷ বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য একটা বড় লাফ হবে৷ ’’
আইপিএল মিডিয়া রাইটস ১০ কোম্পানি দৌড়ে
আইপিএল মিডিয়া রাইটসের জন্য এখনও অবধি ১০ কোম্পানি (টিভি ও স্ট্রিমিং) রয়েছে দৌড়ে৷ এবার মিডিয়া রাইটসের জন্য ৪ টি বিশেষ প্যাকেজ রয়েছে৷ যেখানে প্রত্যেক সত্রে ৭৪ ম্যাচের জন্য ২ দিন অবধি ই নিলাম হবে৷ ২০২৬-২৭ অবদি ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ করার জন্য ভাবছে৷ করোনা অতিমারির আবহাওয়া বিসিসিআই দুটি নতুন দলের বিডিং নিয়েছে৷ এই বিক্রি থেকে তারা ১.৭ আরব ডলার কামিয়েছে৷ লখনউ ফ্রাঞ্চাইজির জন্য আধারমূল্য ২৫০ গুণ বেশি৷
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।