রাজধানীতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
রাজধানীতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলন

দীর্ঘ ১৪ বছর পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকাশ্যে সদস্য সম্মেলন করছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।  


সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। এতে প্রায় সাত হাজারেরও বেশি সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দিনব্যাপী আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  


সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের। এছাড়া জামায়াতের অন্যান্য শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির রফিকুল ইসলাম খান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল।  


ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ ও অন্যান্য স্তরের নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন পর এ ধরনের প্রকাশ্য সম্মেলন হওয়ায় বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।  


সম্মেলনের আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের নীতিমালা, উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল তুলে ধরা হবে। সংগঠনের শীর্ষ নেতারা শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।  


সম্মেলনে উপস্থিত একজন সদস্য বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর আমরা প্রকাশ্যে একত্রিত হতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে কাজ করা।”  


তবে দীর্ঘদিন পর এমন একটি কর্মসূচি আয়োজনের পেছনের কারণ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে মতবিনিময় চলছে। কেউ কেউ মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন গতি আনতেই এ উদ্যোগ।  


আয়োজনটি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।  


সম্মেলনের শেষ অংশে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। এতে ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা তুলে ধরা হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।  


সম্মেলন শেষে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের দিকনির্দেশনা এবং দেশের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বার্তা থাকবে।